![]() |
রসগোল্লা রেসিপি |
রসগোল্লা রেসিপি-rasgulla recipe- history of rasgulla
নমস্কার বন্ধুরা আজ আপনাদের সাথে রসগোল্লা নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই , রসগোল্লা পছন্দ করে না এমন বাঙালি খুব কম ই আছেন , বাঙালি বাতিত অন্য অনেক মানুষই পছন্দ করেন এই রসের মিস্টি ,
এই রসগোল্লা আজকাল অনেকেই বাড়িতে বানিয়ে থাকেন , অথবা দোকান থেকে কিনেই অতিথি আপ্যায়ন করে থাকেন , কিন্তু রসগোল্লার বিষয়ে এমন অনেক তথ্য আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব, যেগুলো সম্পর্কে হয়তো আপনারা তেমন ভাবে অবগত নন।
১) রসগোল্লা কি ? (What is rasgulla?
রসগোল্লা সাদা রঙের গোলাকার একপ্রকার ছানার মিস্টি যা সাধারণত চিনি দিয়ে তৈরী হয় ,এবং শীতকালে এই মিস্টি তে বৈচিত্র আনার জন্যে নলেন গুড় দিয়েও বানানো হয়ে থাকে ,
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের সরকার রসগোল্লার জি আই ট্যাগ লাভ করে ,ফলে এই মিষ্টি
যে বাংলায় তা প্রতিষ্ঠা পায় ।
![]() |
|
rasgulla recipe |
2) রসগোল্লার ইতিহাস ও আবিস্কর্তা : (history of rasgulla , and who is the founder of rasgulla )
রসগোল্লার র ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে দেখা যায় যে রসগোল্লার আঁতুরঘর পশ্চিমবঙ্গ নাকি উড়িষ্যা এই নিয়ে একটা জটিলতা রয়েছে ,যদিও খুব অপ্রাসঙ্গিক জটিলতা ।
রসগোল্লা যে বাঙালিদের সৃষ্টি এবং রসগোল্লা যে কলকাতাতেই আবিষ্কৃত তা সর্বজনবিদিত এবং ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত ।
রসগোল্লার আবিস্কারক পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী নবীন চন্দ্র দাস দাস ,তিনি প্রায় দেড়শ বছর আগে এই চিনির রসে ভেজানো গোলাকার মিষ্টান্ন টি আবিষ্কার করেন
অথচ এরই মধ্যে উড়িষ্যার মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী সম্প্রদায় দাবি করে বসে যে রসগোল্লা প্রথম তাদের রাজ্যেই আবিষ্কৃত ।
কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
এবং ইতিহাসবিদ হরিপদ ভৌমিক জানিয়ে দেন রসগোল্লার আবিষ্কার নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতেই পারে না ,
এবং যথাযথ প্রমাণ এবং তথ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে রসগোল্লার আঁতুর ঘর পশ্চিম বাংলা , রসগোল্লা বাংলা ও বাঙালির সম্পদ ।
আঠেরশো চৌষট্টি সালে কলকাতার জোড়াসাঁকো তে একটি মিষ্টির দোকান খোলেন নবীন চন্দ্র , কিন্তু যে কারণেই হোক সে দোকান বন্ধ হয়ে যায় এবং কয়েক বছর পর কলকাতার বাগবাজারে আর একটি মিষ্টির দোকান দেন নবীন চন্দ্র ,এবং মূলত সন্দেশ এর জন্যে বিখ্যাত ছিল সেই দোকান টি ,
কিন্তু স্থানীয় অভিজাত পরিবার গুলি থেকে বার বার নতুন ধরনের মিষ্টির চাহিদা বাড়ছিল ,সেই চাহিদা থেকেই নানান পদ্ধতিতে নতুন ধরনের মিষ্টি বানানোর চেষ্টায় জন্ম হয় রসগোল্লার ।
ধীরে ধীরে কে সি দাস এই রসগোল্লা কে ক্যানবন্দি করে বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা শুরু করে ,এবং সেই থেকেই কলকাতার রসগোল্লা বিশ্বের দরবারে বিশেষ স্থান লাভ করেছে ।
এছাড়াও কলিকাতা তথা বাঙালি জাতি যে রসগোল্লার অবস্কর্তা এ বিষয়ে আরো একটি শক্তিশালী তথ্য হলো দুধ থেকে ছানা তৈরির পদ্ধতি প্রথম শেখায় পর্তুগিজ রা আর সেই আমলে কলকাতার বিভিন্ন নামকরা স্থানে পর্তুগিজ দের উপনিবেশ ছিল ,
ফলে ছানার মিষ্টি বানানোর কলাকৌশলীও যে বাঙালির হাতে এগিয়ে এসেছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।
৩) রসগোল্লাকে কতদিন রেখে খাওয়া যায়: (how many days we can keep rasgulla )
রসগোল্লাকে সাধারণত ঘরোয়া তাপমাত্রায় তিন থেকে চার দিন রেখে খাওয়া যায় ।
- আরও পড়ুন পনির রেসিপি how to make Paneer at home
৪)রসগোল্লা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ?(is rasgulla good for health ) –
● যেহেতু এটি প্রচুর পরিমানে চিনির রসে ফোটানো হয় এবং চিনির রস এর সাথেই পরিবেশন করা হয় তাই এটি ক্যালোরি তে ভরপুর অর্থাৎ স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও উপযোগী নয় ।
■ রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি /রসগোল্লা তৈরির পদ্ধতি / রসগোল্লা বানানোর সহজ রেসিপি /স্পঞ্জ রসগোল্লা রেসিপি /Bengali Rasgulla recipe / easy rasgulla recipe …
★ রসগোল্লা রেসিপি দেখতে নিচে ক্লিক করুন👇👇👇👇👇
■ রসগোল্লা বানাতে যা যা লাগবে তা হলো :
১)ছানা – দু কাপ
২)চিনি – এক কাপ
৩) জল -দু কাপ
■ রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি :
রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি খুবই সহজ ,শুধু পদ্ধতি টা একটু সতর্ক ভাবে করলেই খুব সুন্দর সফট ,স্পনজি রসগোল্লা বানানো যায় ,
ছানা টাকে প্রথমে ভালোভাবে হাতের তালু দিয়ে ডলে মাখতে হবে যাতে কোনো দানা দানা ভাব না থাকে , অনেকক্ষণ মাখার পর এটার ডো এর মত তৈরি হয়ে গেলে ছোট ছোট লেচির আকারে গড়ে নিতে হবে ,
তার পর চিনি ও জলের সিরাপ তৈরি করে ফুটন্ত সিরাপে একে একে ছেড়ে ভেজে নিতে হবে দশ থেকে বারো মিনিটের জন্যে ।
রসগোল্লার লেচি গুলো যখন ফুলে একেকটা ডবল সাইজে এসে যাবে তখন গ্যাস অফ করে রসগোল্লা গুলো কে রসের মধ্যে ডাকা দিয়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন করুন এই রসগোল্লা রেসিপি ।
- ট্যাগ : রসগোল্লা রেসিপি
Nice recipe